আতশবাজি বিস্ফোরণকারী সোহানুর রহমান সোহান (ডানে)
স্টফ রিপোর্টার:
দেওয়ানগঞ্জে আতশবাজির উচ্চ শব্দে মো. শামচে তিবরিজ নামের এক ব্যাক্তি স্ট্রোক করে দুইদিন পর গতকাল শুক্রবার ঢাকা নিউরোলজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় । আতশবাজি বিস্ফোরনকারী চিকাজানি এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে সোহানুর রহমান সোহান।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টা সময় তিবরিজ দেওয়ানগঞ্জ বাজারের আদিব এন্টারপ্রাইজ নামের এক লাইব্রেরিতে ফটোকপি করছিলো । এসময় পাশের সোহান টেলিকম এন্ড ইলেকট্রনিক্স এর মালিক সোহানুর রহমান সোহান সড়কে দাড়িয়ে একাধিক আতশবাজির বিস্ফোরন ঘটায় । বাজারে উচ্চ শব্দের শব্দ দূষণ সৃষ্টি হয়। তিবরিজ সোহানকে আতশবাজি বিস্ফোরণ বন্ধ করতে বলে । এসময় সোহান রাগান্বিত হয়ে তিবরিজকে গালাগালি করে এবং তিবরিজের দিকে একটি আতশবাজি ছুড়েমারে। আতশবাজিটি আদিব লাইব্রেরির ভিতর প্রবেশ করে বিস্ফোরিত হয়ে লাইব্রেরির বই কাগজ পুড়ে যায় । আতশবাজির উচ্চ শব্দে তিবরিজের শরীর খারাপ করে। বাজারের লোকজন তাকে বাড়িতে পাঠায়। বাড়িতে পৌছেই তিবরিজ স্ট্রোক করে । চিকিৎসার জন্য দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় । অবশেষে ময়মনসিং থেকে ঢাকা নিউরোলজি হাসপাতালের কোমায় ভর্তি রাখা হয় । গত শুক্রবার ( ২৩ ফেব্রুয়ারি ) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিবরিজ ।
স্থানীয় বাসিন্দা করিম মিয়া, মিরাজ, আরিফ উদ্দিন সহ অনেকেই জানায়, এই সোহান মাঝে মাঝেই আতশবাজি বিস্ফোরন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এবং নিজেকে প্রভাবশালী বলে দাবি করে । পৌর মেয়র শেখ মো. নুরুন্নবী অপুর সাথে দোকানের ভিতর ছবি টানিয়ে রেখেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়রের সাথে তোলা ছবি ভাইরাল করে মেয়রের লোক দাবি করে এসব অপকর্ম করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে । আমরা এই বিস্ফোরনকারী সোহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই ।
তিবরিজের মৃত্যুর খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেওয়ানগঞ্জবাসী সোহানের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে কমেন্ট করে যাচ্ছে।