জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করুন। কমিশনের কথা চিন্তা করে প্রকল্প নেওয়া যাবে না। প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ সাশ্রয় করে কাজ করতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশে ভূমি ও গৃহহীন মানুষ থাকবে না। প্রথমে বিভাগ, তারপর জেলা পর্যায়ে খাদ্য সংরক্ষণাগার করা হবে। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। শুধু নেয়ার জন্য কোনো প্রকল্প নেবেন না; জনগণের কাজে লাগে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। জলাধার যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
এসময় তিনি বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।’ সমন্বিত চাষাবাদ বা সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান করে কাজ করলে জমির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘আশ্রয়ণসহ বিভিন্ন প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের খোঁজ খবর রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অনেক দায়িত্ব আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আজকে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কারও কাছে মাথা নিচু করে আমরা চলব না। মাথা উঁচু করে চলতে হবে আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলব। আমরা কম্পিউটার ট্রেনিং দিচ্ছি। শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতিটি স্কুলের উন্নয়ন করেদিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। এতো কিছু করছি এদেশের মানুষের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল সেটাও যেমন আমরা অর্জন করব, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, দক্ষ জনশক্তি, দক্ষ সরকার, দক্ষ অর্থনীতি, দক্ষ সমাজ আমরা গড়ে তুলব।